spot_img
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
HomeArchitectureগৌরনদীর রাজনীতি নিয়ে সাধারন জনগনের ভাবনা

গৌরনদীর রাজনীতি নিয়ে সাধারন জনগনের ভাবনা

মিজানুর রহমান মুন্সী

রাজনীতিবিদ, লেখক, সাংবাদিক

সম্প্রীতির বাংলাদেশ৷ তার মধ্যে আমার বরিশাল অঞ্চলের গৌরনদীর সম্প্রীতি নিয়ে গর্ব করার মত।
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিরোধী দলের প্রতি নির্যাতনের মাত্রা ছিল তীব্র আর গৌরনদী ছিলো তীব্রতর।
সতেরো বছর বিরোধী দলের কাউকে কোথাও দাড়াতে দেয়া হয় নাই। তাদের নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরন থেকে মৃত্যু বরন
সন্মানিত লোকের সন্মান হানী টেন্ডার চাদাবাজি, দখল জুলুম সহ ভয় ভীতি দেখায়ে দেশন্তরী মটর সাইকেল গায়েব সহ এমন কোন হীন কাজ ছিলনা তারা তা করে নাই। গ্রাম্য শালিশি বানিজ্য স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সরকারী অফিস সকল কিছু ছিল তাদের নিয়ন্ত্রনে। আমরা ছিলাম করদ রাজ্যের বাসিন্দা অর্থাৎ শুধু কর দিব।

দীর্ঘ্য সতেরো বছরে বি এন পি সহ বিরোধী কাউকে একত্রে রাস্তায় পর্যন্ত দাড়াতে দেয়া হয় নাই। তার পরে বিরোধী দল বি এন পি ছিলো চার খলিফায় বিভক্ত।
না দাড়াবার আরেকটা প্রধান দুর্বলতা ছিলো এই চার খলিফার অনৈক্য এবং দালালী।
এ নেতাদের ইগো অনৈক্যের ফলশ্রুতিতে সকল খেশারাত গুনতে হয়েছে তৃনমুল কর্মিদের। নেতারা যার যার পছন্দের লোকদের নিয়ে কমিটি বানিজ্য থেকে শুরু করে সকল রাজনীতিই তৃনমুলের সাথে করেছে। তৃনমুল ত্যাগি মাঠে আন্দলন সংগ্রামে তারাই সাহসি ভুমিকা রেখেছে।

আজ পর্যন্ত বি এন পি ক্ষমতার বাহিরে
। মাত্র ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের পতন হয়ে বিশ জন উপদেষ্টা ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

এরই মধ্যে সতেরো বছরের নির্যাতনের প্রতিশোধে জাতী উত্তল। যে যেখানে পারছে ঘর বাড়ী জালিয়ে মার ধর করে মামলা দিয়ে প্রতিশোধের জালা মিটাচ্ছে।
কিন্তু যেখানে গৌরনদী ৪/৮/২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত কাউকে সরকার বিরোধি কর্মকান্ডের সহিত কোথাও দাড়াতে দেয় নাই। আর বি এন পির এখন সিংহ পুরুষ যারা তারা তখন দাড়াতে যাবার উদ্যোগ নেন নাই। কিন্তু পাচ তারিখের পর থেকে তাদের কর্মকান্ডে এখন সাধারন মানুষ অস্বস্তি বোধ করছেন।

তারা দখল চাদাবাজি নিয়ে এত ব্যাস্ত যে দল নিয়ে ভাবতে তাদের ফুরসত মিলছে না। দলের ব্যানার আওয়ামিলীগ এর মত লাল শালুতে পরিনত হচ্ছে।
আমার আসলে আলোচনার বিষয় চাদাবাজি দখলদারিত্ব নিয়ে নয়,গৌরনদীর সম্প্রীতি নিয়ে। গৌরনদীর বি এন পিতে চার খলিফার অনুসারীরা যে যার ক্ষমতা যে ভাবে খাটিয়ে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে সেই নিয়েই ব্যাস্ত। সেখানে কেউ চাদাবাজি দখল দারিত্বে সফল আবার যে সফল হয় নাই সে নীতিবাক্য বলে সস্তা জনসমর্থন নিতে ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গৌরনদী আগৈলঝাড়া চায়ের টং দোকান থেকে শুরু করে আমাদের প্রবাসেও এখন এর আলোচনা সমালোচনা চলছে।
ত্যাগি বি এন পি এখন মাঠ থেকে ছিটকে পরে আফসোস করছে —–
এই চার খলিফাদের মধ্যেও আবার কাউকে সাধারন জনগনের মুল্যায়নের দৃষ্টিতে হাইব্রিড হিসাবে দেখে এবং তার অনুসারীরা নাকি এখন মাঠে চাদা বাজি দখলদারিত্বে এগিয়ে আছে। সে ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ এখন বিস্ফরিত হবার অপেক্ষায়।

এই হাইব্রিড সব সময়ই নিজের একক ক্ষমতা কর্তৃত্ববাদ খাটাবার বিষয় নিয়ে মাঠে অনেক আলোচনা সমালোচনা আছে। গৌরনদীর সকল জনগন ক্ষমতার ভারসাম্য চায়। আর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে চাদাবাজি দখলদারিত্ব থেকে শুরু করে আওয়ামিলীগ এর পুনর্বাসন কমে যাবে।
দেশে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তাদের একটাই কথা আমাদের দীর্ঘ্য সতেরো বছরে এ মাটিতে দাড়াতে দিলো না। মার ধোর করে কুপিয়ে রক্তাক্ত করল অথচ এই হামলা কারীর কাউকে একটা নখের আচর পর্যন্ত দিলো না। বরং তাদের নিয়ে গ্রুপিং এর গ্রুপ ভারি করার জন্য সাথে নিয়ে অবলিলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ঘর বাড়ী হামলা- তো দুরের কথা তাদের ঘর বাড়ীতে হামলা যাতে না হয় তার জন্য মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এই বি এন পির শালু ব্যাবহারকারীদের দিয়ে তাদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ ঘর বাড়ী পাহাড়াদারের কাজ করাচ্ছে। এখন নির্যাতিত বি এন পি তাদের নৈতিকতা হারিয়ে পাহারার কাজে লিপ্ত।

গৌরনদী টরকিতে ব্যাবসায়ি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাপ প্রয়োগ করায়ে অর্থের বিনিময় যা করছে তার দায় ভার চার খলিফার নেতা কর্মিদের মধ্যে বিভিন্ন দল থেকে আসা সুবিধাভোগীরা এগিয়ে আছে। এ সব দেখে এখন এ অঞ্চলের বি এন পি থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিবে।
প্রতিদিন হাজার হাজার মটরসাইকেলের মহড়া কথিত দলধারী লোকের এখন কেউ পেয়ে খুশী কেউ না পেয়ে ক্ষোভে সমালোচনা করে সময় পার করছে।

তাই সাধারন জনগনের চাহিদা;
১/ নির্যাতনকারী আওয়ামিলীগ এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পাহাড়া এবং পুনর্বাসন করা এটা অনৈতিক।
২/এই দীর্ঘদিন আওয়ামিলীগ এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনের মুখোমুখি করা।
৩/ আওয়ামিলীগ এর নেতা কর্মিকে আশ্রয় দিয়ে ত্যাগিদের মনে কষ্ট না দেয়া।
৪/ সম্প্রীতির পর্দার আড়ালে চাঁদাবাজি না করা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments