আবির হাসান পারভেজ, কালকিনি (মাদারীপুর):
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্থানীয় দ্বন্দ্বের জের ধরে একটি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে অর্ধশতাধিক কলাগাছ রোপন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। অপরদিকে এ ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে বিদ্যালয় সুত্রে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,
উপজেলার ভাটোবালী আবদুর রহমান মোল্লা বিদ্যা পিঠ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের খেলাধুলা করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ মাঠে শরীর চর্চার অংশ বিশেষ হিসেবে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে আসছিল। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় দ্বন্ধের জের ধরে একই এলাকার আয়নাল আকন, দেলোয়ার আকন, দাদন আকন, লালমিয়া আকন মিলে গত শুক্রবার বিদ্যালয়ের ওই খেলার মাঠ দখল করে অর্ধশতাধিক কলাগাছের চারা জোরপূর্বক রোপন করে। এসময় তাদের বাধা দিলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হুমকি প্রদান করে দখলবাজরা। এ ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয় বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, অনেক বছর আগে স্কুলের নামে আমরা জমি দিয়েছি। স্কুলের দেখভাল আমরা করতেছি।খেলাধুলার পাশাপাশি সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর আমরা জানতে পারি স্কুলের কিছু মাঠের জমি গোপনে রেকর্ড করে নিয়ে গেছে আয়নাল আকনরা। এটা কি করে সম্ভব হলো।
স্থানীয় মীরজালি মোল্লা, শুকুর মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন বলেন, এত বছর কোন সমস্যার কথা কানে শুনিনি, কিন্তু শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর আয়নাল আকনরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। তারা জোরপূর্বক স্কুলের মাঠে কলা গাছ লাগিয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিবহাজুল, রেজাউল, রনি, জিহাদ, তাসিন রহমান, শাহিন মোল্লা জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে কলাগাছ রোপনের কারনে আমাদের মাঠে খেলাধুলার পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। আমরা মাঠকে দখলমুক্ত দেখতে চাই।
অভিযুক্ত আয়নাল আকনের ভাই আহছান আকন বলেন, আমাদের জমিতে আমরা কলাগাছ লাগিয়েছি। জমির কাগজ আমাদের নামে।
প্রধান শিক্ষক কাজল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, আমরা দুরের লোক, আমরা ওই বিষয়ে কথা বললে আমাদের উপর হুমকি আসে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহাবুবা ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আমরা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছি। কাগজপত্র দেখে আইনগত ব্যবস্তা নেয়া হবে।