মাঠে যাওয়া-আসার প্রতিযোগিতা দেখালেন ক্যারিবীয় ব্যাটাররা, যা লজ্জায় ডুবাল উইন্ডিজ ক্রিকেটকে। মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়েছে রস্তন চেজের নেতৃত্বাধীন দলটি। টেস্ট ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। বিব্রতকর এই তালিকায় সবার ওপরে নিউজিল্যান্ড। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
লজ্জার তালিকায় নিউজিল্যান্ডের পরের স্থানে ঠাঁই পেয়েছে উইন্ডিজ। জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে, কিংসটাউন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিকরা হেরেছে ১৭৩ রান ব্যবধানে। এই হারে হোম সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে উইন্ডিজ। প্রথম দুই টেস্ট হেরেছিল যথাক্রমে ১৫৯ ও ১৩৩ রান ব্যবধানে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ম্যাচের তৃতীয় দিনে উইন্ডিজকে জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মিচেল স্টার্কের সেই ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ইনিংসের প্রথম এবং নিজের তৃতীয় ওভারে আরও দুই শিকার করেন স্টার্ক। তখন উইন্ডিজের বোর্ডে ৭ রান, নেই ৫ উইকেট।
মাত্র ১৫ বলে ৫ উইকেট শিকারে ইতিহাস গড়েছেন স্টার্ক। টেস্টে দ্রুততম ফাইফার এখন এই অজি পেসারের। ১৯ বলে ৫ উইকেট শিকার করে এতদিন রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে- আর্নি টোসাক, স্টুয়ার্ট ব্রড এবং স্কট বোল্যান্ডের। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকেও পৌঁছে গেছেন মিচেল স্টার্ক।
স্টার্কের ফাইফারের পরের ওভারে আঘাত হানেন জশ হ্যাজলউড। তিনি আউট করেন স্বাগতিক অধিনায়ক রস্তন চেজকে। এরপর ক্ষণিকের জন্য থামে উইকেট বৃষ্টি। তারপর ১৪তম ওভারে বোল্যান্ডের তাণ্ডব। প্রথম তিন বলে তিন উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিক করে বসেন। তখন উইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ২৬ রান।ভাগ্যক্রমে আরেকটি রান পায় উইন্ডিজ। তাই অন্তত নিউজিল্যান্ডের লজ্জা ভাগাভাগি করতে হয়নি। দলীয় ২৭ রানে তাদের দশম উইকেটের পতন ঘটে স্টার্কের গতিতে। ইতিহাস গড়া দিনে ৭.৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করে অজি পেসার। উইন্ডিজের সাত ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে।