ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল শোধানাগার প্রতিষ্ঠান ভেদিনার অয়েল রিফাইনারির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শুধু তাই নয়, দেশটির বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে রাশিয়ার তেল পরিবহনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ২৭ দেশের এ জোট।
মূলত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসনেফটের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার আছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ইইউ’র পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান কাজা কালাস ভারতের বৃহৎ তেল শোধানাগার প্রতিষ্ঠানটির ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য হিন্দুর।
এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় কাজা কালাস বলেছেন, আমরা ক্রেমলিনের যুদ্ধবাজেটের মূলে আঘাত করতে চাই। সেজন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভেদিনার অয়েল রিফাইনারি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের ভেদিনার নগরে অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে ভারতীয় কোম্পানি নায়ারা এনার্জি লিমিটেড এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসনেফটের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই তেল শোধানাগার। প্রতিষ্ঠানটির ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক রোসনেফট।
ভেদিনার অয়েল রিফাইনারির পাশাপাশি রাশিয়া-ভারত তেল বাণিজ্যের ‘পতাকা নিবন্ধন’ বা ফ্ল্যাগ রেজিস্ট্রি’র ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইইউ। এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে এখন থেকে ভারতীয় পতাকাবাহী কোনো জাহাজ আর রাশিয়ার তেল বহন করতে পারবে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশটির তেলের ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। এই দুই পক্ষই ছিল রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
তবে, রুশ তেলের অপর ক্রেতা ভারত কোনো নিষেধজ্ঞা জারি না করে উপরন্তু রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন, তারপরেই আছে ভারত।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এই প্রথম ভারতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করল ইইউ।