বদলে যাচ্ছে গৌরনদী আগৈলঝাড়া বিএনপির মাঠের চিত্র। আর্বিভাব ঘটছে হাইব্রিডদের। আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি। বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। তারাই এখন বিএনপির দাপুটে ‘হর্তাকর্তা’। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারাই এখন নানা জায়গায় দখল পর্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার তারাই এখন তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।
গৌরনদী আগৈলঝাড়া বি এন পি তৃনমুলের গ্রুপিং রাজনীতির স্বীকার বদিউজ্জামান মিন্টু( সিনিয়ার যুগ্ন আহব্বায়ক) গৌরনদী উপজেলা।
বি এনপির তৃনমুলের নেতা বদিউজ্জামান মিন্টুর বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র।
৪০ পেরিয়ে ৪১ বছর ধরে একটানা বিএনপির রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখা রাজপথের সম্মুখযোদ্ধা বদিউজ্জামান মিন্টুর প্রধান শক্তি তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা।
এ কারণেই বিগত পতিত সরকারের ১৭ বছরসহ রাজনৈতিক জীবনে তার (মিন্টু) বিরুদ্ধে ১৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। ওইসব মামলায় অসংখ্যবার কারাবরণ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে সাতবার হামলার শিকার হয়েও বদিউজ্জামান মিন্টুকে রাজনৈতিক মাঠে দমিয়ে রাখা যায় নাই।
১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং ২০০০ সালে ছাত্রদল বরিশাল জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। দলের প্রতি আনুগত্য ও আর নীতির প্রশ্নে আপোষহীন বদিউজ্জামান মিন্টুকে ২০০৩ সালে যুবদলের গৌরনদী উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ২০০৫ সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানে যুবদলের রাজনীতিতে বরিশাল জেলাজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন মিন্টু। যেকারণে ২০০৮ সালে তিনি বরিশাল জেলা উত্তর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এবং একই বছর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওইবছরই (২০০৯ সালে) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী ছিলেন বদিউজ্জামান মিন্টু।
২০১০ সালে তিনি বরিশাল জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, ২০১৫ সালে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক, ২০২২ সালে বরিশাল জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য এবং ২০২৩ সাল থেকে তিনি (মিন্টু) উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, স্কুল জীবনে ছাত্রনেতা থেকে পর্যায়ক্রমে নিজের মেধা, দক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও জনসম্পৃক্ততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে বদিউজ্জামান মিন্টু উপজেলা ও জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিজের মেধা-মনন, পরিশ্রম, জনসম্পৃক্ততা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে ধাপে ধাপে উঠে আসা বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু এখন দাঁড়িয়ে আছেন এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি।
সার্বিক বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু জনকণ্ঠকে বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যবর্ধি বিএনপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজপথে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগন এবং কর্মীরাই আমার শক্তি। জীবনে যতোদিন বেঁচে থাকবো কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পতাকাকে সমুন্নত রাখবো।
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। আমাকে দমিয়ে রাখার জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৫০টি রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সাতবার হামলার শিকার হয়েছি। এরমধ্যে পাঁচবারই হত্যা চেস্টা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসংখ্যবার মামলা-হামলার শিকার হয়েও দলীয় কার্যক্রম থেকে আমাকে সরিয়ে রাখা যায়নি। ষড়যন্ত্রকারীরা সেই ধারা এখনো অব্যাহত রেখেছে, তাতে আমি বিচলিত নই। জনগন এবং কর্মীরাই আমার শক্তি।