নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের অন্তত ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের চক কালিকাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলা চামারী ইউনিয়নের চক কালিকাপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামের সভাপতি নাজমুল (৩৫), সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, ফরিদ ফর্দু (৪৫), স্বপন (৩০), সাগর (২৫), চক কালিকাপুর গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে হাবিল (৩৫), কাবিল (৪৫), কাউসার (২৫), কোরবান এবং একই এলাকার স্বপনের মেয়ে ১০ বছর বয়সী শিশু সুমাইয়া খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সমাবেশ উপলক্ষে ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মো. নাজমুল কয়েকজন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন। এ নিয়ে বিএনপি সমর্থক হাবিল, কাবিল, কাউসার ক্ষুব্ধ হন। সমাবেশ থেকে ফেরার পর চক কালিকাপুর গ্রামের ভেজালের মোড় এলাকায় জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ও সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জামায়াতের নেতা নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কিছু সাধারণ মানুষ ঢাকার দলীয় সমাবেশে গিয়েছিলেন। এটা বিএনপির লোকজন মেনে নিতে পারছেন না। তাই অহেতুক ঝামেলা বাধানোর জন্য তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেকেই আহত হয়েছি।’
তবে আহত বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন সমাবেশে গেছেন, এতে আমাদের কিছু বলার নাই। তারা এলাকায় ফিরে গণ্ডগোল বাধানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আমাদের মারপিট করেছে।’
সিংড়া থানার কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।