ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র মোহাম্মদ সামীউল করিম সামীরকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় নানার কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের খোন্তকালী গ্রামের বাসিন্দা নানা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী সামীরের পরিবারের বরাতে এ তথ্য জানান।
মৃত ১১ বছর বয়সী সামীউল করিম সামীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এবং মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রেজাউল করীম শামীমের ছেলে ছিল।
তার মা রেশমা করিম বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বাবা উত্তরায় ব্যবসা করেন।
জানাজায় অংশ নেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী বলেন, “গত রোববার মায়ের সঙ্গে ঢাকায় যায় সামীর। বাবা রেজাউল করিম শামীমের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু হয় তার।
“দুই সন্তানের মধ্যে সামীর ছোট। তার বোন এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।”
মিলন চৌধুরী বলেন, “সামীরকে স্কুল থেকে আনার জন্য তার বাবা গেটে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বাবা ছেলেকে রক্ষার চেষ্টায় টেনে বের করেছিল। কিন্তু ততক্ষণে সামীর আগুনে ঝলসে যায়।
“তাই কাউকে লাশ দেখানো হয়নি। বাবার কাঁধে একমাত্র ছেলের লাশ বহন করার কষ্ট কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে সামীরের বাবা বাকরুদ্ধ। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মা।