সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে নেওয়ার জন্য ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছিল। সাকিবকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে খেলানোর জন্য বোর্ডের সর্বোচ্চ টেবিলেও আলোচনা চলছিল। সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্রিকেটার জাতীয় দলে সাকিবের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এমনকি বিসিবির সভাপতি থাকাকালীন ফারুক আহমেদও সাকিবের প্রয়োজনীতার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির সভাপতি হওয়ার পরও সাকিবের কথা বলেছেন। খালেদ মাহমুদ সুজন বার বার বলেছেন সাকিবের রাজনৈতিক বিষয়টি বাদ দিয়ে তার ১৭ বছরের অবদানের কথা যেন বিবেচনা করা হয়।গত ১৫ আগস্ট সাকিব তার ফেসবুক পোস্টে জাতীয় শোক জানিয়ে তিনি একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেছেন। যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও তার পরিবারের সব সদস্যের ছবি দিয়েছিলেন সাকিব। পোস্টে তিনি লিখেছেন, তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
এই একটি পোস্টে সাকিবের দেশে ফেরার ক্ষীণ সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেল কিনা, তা নিয়ে দেশের ক্রিকেট মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেশের প্রয়োজনে সাকিবকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেয়নি কেউ। ১৫ আগস্ট শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সাকিব কি তার দেশে ফেরার দুয়ার স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিলেন?
সাকিবের ফেসবুক পোস্ট সরকারের নজরে এসেছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন তারা সাকিবের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাতে রাজি না। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে যতটুকু সম্ভাবনা ছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, ‘২০২৪ পরবর্তী যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী তারা কেউ ২০২৪ পরবর্তী সরকারের সঙ্গে যায় না। সাধারণ মানুষের উপলব্ধি তারা বুঝতে পারছেন না।’
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র মনে করে, ‘সাকিব নিজের সুযোগ নিজেই নষ্ট করলো। শেষ সম্ভাবনা যতটুকু ছিল, তা নষ্ট করলো। তাকে সহযোগিতা করার কোনো স্কোপ নেই।’