স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গুয়াগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্প স্থায়ীভাবে করা হবে এবং যত অবৈধ অস্ত্র আছে তা ধাপে ধাপে উদ্ধার করা হবে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুরে সদ্য স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা মুন্সীগঞ্জের আলু চাষীদের দুর্দশার চিত্র তার সামনে তুলে ধরলে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। আলু চাষীরা যাতে ন্যায্য দাম পায় সেজন্য আমরা আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও হিমাগার থেকে আলু বের হচ্ছে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, মুন্সীগঞ্জের সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ন রশীদ, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম।
প্রসঙ্গত, গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে নৌ ডাকাতদের অপতৎপরতা কমাতে গত ২২ আগস্ট ইউনিয়নটির জামালপুর গ্রামে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। ক্যাম্প চালু হওয়ার পর ২৫ আগস্ট অস্থায়ী ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পুলিশকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪ থেকে ৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় জলদস্যুরা। বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করলে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।