বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ধামসর গ্রামে এক খ্রিস্টান তরুণীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টায় উজিরপুরের ধামসর গ্রামে মামা মাইকেল পান্ডের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলার মৃত মিন্টু মন্ডল ও অঞ্জুনা মন্ডল এর কন্যা ন্যান্সি মন্ডল (২০)। দীর্ঘদিন যাবৎ ধামসর গ্রামে মামা মাইকেল পান্ডে ও সুমন পান্ডের বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি। তার ২ ভাই ঢাকায় থাকেন।
জানা গেছে, ৩ বছর পূর্বে ধামসর গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের লালসার স্বীকার হয়ে পুত্র সন্তানের মা হন ন্যান্সি মন্ডল। এ নিয়ে মামলা চলমান। তবে তার সন্তান বিক্রির অভিযোগ রয়েছে মামাদের বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম প্রতিদিনের মতো তার মামা মাইকেল পান্ডে ও মামানীর সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে মাঝখানের রুমে ঘুমাতে যান। তার মামা ও মামী বাসার পেছনের বারান্দার রুমে ঘুমানো ছিলেন। সকাল অনুমান ৭টায় ভিকটিমের মামা মাইকেল পান্ডে ভিকটিমকে ডাকতে গিয়ে দেখেন ভিকটিমের মরদেহ তার শয়নকক্ষের ভেতরে ঘরের কাঠের সঙ্গে গলায় রশিতে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। শয়নকক্ষের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মামার ডাক চিৎকারে ভিকটিমের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং পুলিশের খবর দেন।
মামা মাইকেল পান্ডে বলেন, ‘আমার ভাগ্নি ন্যান্সি মন্ডলের ফেসবুকে ফরিদপুর জেলার টুম্পা নামের একজন মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাধে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৪ আগস্ট ওই প্রেমের সম্পর্কে তারা দুজন দুজনের বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে মাদারীপুর জেলায় আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তাদের খুঁজে বের করে মামা সুমন পান্ডে ও মাইকেল পান্ডে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। ওই প্রেমের সম্পর্ক ভাঙ্গনের কারণে এবং ভিকটিমের মামাদের মানসম্মান ক্ষুন্ন হওয়ায় ভিকটিম মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়ভাবে প্রাথমিকভাবে জানায়।’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর সালাম জানান, মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।