নেপালে চলমান বিক্ষোভ ও সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম খবরহাব এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র ডিআইজি বিনোদ ঘিমিরে জানান, নিহতদের মধ্যে কাঠমান্ডু উপত্যকাসহ অন্যান্য জেলার মানুষ রয়েছেন। এছাড়া, একজন ভারতীয় নারী ও পুলিশের তিন সদস্যও নিহতদের মধ্যে আছেন।
সরকারি মদদে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কর্মসংস্থানের সংকট নিয়ে আন্দোলন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু সরকার ভুয়া খবর রোধের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করলে আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। পরে সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও সহিংসতা থামেনি। অবশেষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগে বাধ্য হন।
রয়টার্সের তথ্যমতে, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,৩০০ জন আহত হয়েছেন। লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে কয়েকশ’ কোটি রূপি। সেনাবাহিনী কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
শুক্রবার থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরছে। দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে, রাস্তায় গাড়ি চলাচল করছে। যদিও সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু এলাকায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল।
চীন ও ভারতের মাঝে অবস্থিত নেপালে দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে একের পর এক সরকারের পতন ঘটছে।