গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় খানাখন্দে একাকার হয়ে চলাচলের অনুপযোগী একটি সড়ক সংস্কার করছে এলাকাবাসী। উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের বড় দক্ষিণপাড় কলাভিটা ব্রিজ থেকে দক্ষিণপাড় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৬০০ মিটার কার্পেটিং সড়ক এলাকাবাসীর অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়।
এলাকাবাসীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সচেতন মহল। তবে অতিদ্রুত এ রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কারের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে এলজিইডি ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই সড়কটি কার্পেটিং করে। এরপর ১৬ বছর পেরোলেও কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বড় বড় গর্ত এবং খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে আরো খারাপ হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি।
এদিকে ৪৮ নম্বর বড় দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় দক্ষিণপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বড় দক্ষিণপাড়া নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসা, বড় দক্ষিণপাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান, বড় দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও বড় দক্ষিণপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সড়কটি। এ ছাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলায় যাতায়াতের জন্য কোটালীপাড়া-শুয়াগ্রাম সড়কের সংযোগ সড়ক এটি।
গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আজিজ শেখ বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘবে এলাকার যুবসমাজ এগিয়ে আসে সড়কটির আপৎকালীন সংস্কারে। এলাকাবাসীর পাশাপাশি ঢাকায় ও প্রবাসে থাকা গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। আমরা ইটের খোয়া, সিমেন্ট ও বালু দিয়ে রাস্তায় ভাঙা জায়গাগুলোতে ঢালাই দিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তুলছি।
প্রবাসী সাকিব ইসলাম তপু বলেন, দেশে এসে দেখি সড়কটির অবস্থা খুবই করুণ। তাই আমরা সবাই মিলে এটিকে চলাচলযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছি। গ্রামের বাসিন্দা ও খামারি আবু জাফর শেখ বলেন, বড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের সব সমস্যা আমরা একসঙ্গে সমাধান করার চেষ্টা করি। সড়ক সংস্কারের এই উদ্যোগ তারই ধারাবাহিকতা।
ঢাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও কোটালীপাড়া কল্যাণ সংঘের সভাপতি সোহেল শেখ বলেন, এই সড়কের সঙ্গে গ্রামের ছয়টি সরকারি, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সরাসরি যুক্ত। তাই সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাই সড়কটি প্রশস্ত করে পাকা করার। এতে হাজারো মানুষ উপকৃত হবেন। কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহ বলেন, সড়কটি মেরামতে এলাকাবাসী যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সড়কটির স্থায়ী মেরামতের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।