বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের মিমাসাংসার নামে প্রহসনের সকল চেস্টা ব্যর্থ করে থানায় মামলা দায়েরে এক মাস পরে পুলিশ কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অভিযুক্ত ধর্ষক পলাশ সরদারকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে আগৈলঝাড়া থানায় নিয়ে যায়। শনিবার সকালে গ্রেতারকৃতকে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো. অলিউল ইসলাম জানান, উপজেলার চাঁদত্রিশিরা গ্রামের প্রতিবন্ধী ওই নারী ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ গণমাধ্যমে জানতে পেরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে আইনি সহয়তা প্রদান করা হয়।
তিনি থানায় মামলা করার পর মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মামুন হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক পরঅশ সরদারকে গ্রেপ্তার করে আগৈলঝাড়া থানায় নিয়ে আসে।
এজাহার ষুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চাত্রিশিরা গ্রামের শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পাশের বাড়ির দুই সন্তানের জনক ভ্যান চালক পলাশ সরদার।
ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকীতে ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারী কাউকে ধর্ষণের ঘটনা জানায়নি। পাঁচ মাস পরে প্রতিবন্ধী ওই নারীর গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষায় জানা যায় সে গর্ভবর্তী। গর্ভধারণের বিষয়টি সম্পর্কে ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী নারীর তার পরিবারকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে।
অন্তঃসত্ত¡ার ঘটনা জানাজানির পর অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ছালাম মোল্লা ও তার কতিপয় লোকজন মামলা না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগীতায় মামলা করেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারীর মা। মামলা করায় বিভিন্ন হুমকী ধামকি দিয়ে আসছিল ধর্ষক পলাশের পক্ষের লোকজন।
থানা পুলিশের একটি দায়িশীল সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও এখন পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ধর্ষিতা ওই নারীকে বিয়ে করে ধর্ষণের দায়মুক্তি থেকে অব্যাহাতি চাইছে দুই সন্তানের জনক ধর্ষক পলাশ।
উল্লেখ্য, আগৈলঝাড়ায় ধর্ষণে ঘটনার প্রতিবন্ধী নারী অন্তস্বত্বার সংবাদ প্রচার হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। পরে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করেন প্রতিবন্ধী ওই নারী মা।