spot_img
বুধবার, নভেম্বর ২০, ২০২৪
HomeArchitectureবিদেশি নাগরিক কীভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি হন, প্রশ্ন বিএনপি নেতার

বিদেশি নাগরিক কীভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি হন, প্রশ্ন বিএনপি নেতার

বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বার্বাডোজের নাগরিক বলে দাবি করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে মো. সাহাবুদ্দিন কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইতালির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ  প্রশ্ন তুলেন।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, একমাত্র বাংলাদেশেই এমন অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্যের কারণে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণে আন্দোলন চলছে।

আসাদুজ্জামান রিপন  বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যে কোনো সময় পদত্যাগ করবেন। তার পদত্যাগ করা উচিত। তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোসের নাগরিক হয়েছেন। এটা মনে হয় শুধু বাংলাদেশেই হয়। অন্য দেশের নাগরিক এ দেশের রাষ্ট্রপতি হয়। চুপ্পু সাহেব দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে এটা জেনেই শেখ হাসিনা চুপ্পুকে ওখানে বসিয়ে দিলেন। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে ওনাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। উনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানেন না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে রিপন বলেন, একটা ডামি সরকার পদত্যাগ করবে কি করবে না এটা নিয়ে এত আলোচনার কি আছে। উনি (শেখ হাসিনা) তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলেই উনি পদত্যাগ করেছেন। উনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেখানে হয়তো এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তাই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এর মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে।

আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আরও অনেক নেতা বক্তব্য দেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments