বর্তমান বাংলাদেশ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলোচনা এবং সমালোচনার তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত প্রিন্টিং মিডিয়া এবং গণমাধ্যমগুলি এ নিয়ে মিডিয়া জগতে সরোবর।
জামায়াতে ইসলামী দলকে নিয়ে আওয়ামিলীগ পশ্চিমা বিশ্বের অনুকম্পা নিতে জঙ্গী তক্মায় ভারতকে দূরবীনের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছিলেন।
বর্তমানে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় নেই তা হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারত এখন কিভাবে দেখবে এবং তাদের কি করনীয় আছে?
২৪ এর জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরোক্ষ প্রত্যক্ষভাবে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রে আমরা পা দিয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করছে তাদের আদর্শ নীতি দেশপ্রেমিকতার আদলে হলেও প্রত্যেকে এই দেশের মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এবং বেইমানি করতে দ্বিধাবোধ করে না। রাজনীতির চেয়ে দালালি ধান্দাবাজ নেতাদের সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা লোভী এবং দুর্নীতিবাজ এজন্যই পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা গুলো আমাদের দেশ নিয়ে সুবিধা পাচ্ছে।
১৯৭১ সালে জামাত দেশ বিরোধী কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে রাজাকার উপাধি নিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে ঘৃণিত রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে তারা প্রত্যেকবারে কৌশলগত কারণে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলির সাথে সুযোগ বুঝে মিলে তারা নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অপষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জুলাই আগস্ট এর পরবর্তী পর্যায়ে জামাত ক্ষমতার লোভে জাতির সাথে যতগুলি কাজ করেছে, সমস্ত কাজেই তার নিজের পায়ে নিজের কুড়াল মারার সমতুল্য।
যেমন ১৯৭১ সালে দেশবিরোধী কার্যক্রমের কারণে তারা রাজাকার উপাধিতে পর্যবসিত।
২৪ সালের জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের সাথে, তাদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আওয়ামিলীগকে পুনর্বাসিত করার জন্য যে পদক্ষেপে তারা অবতীর্ণ হয়েছে এটা হবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরেকটা মোনাফেকি।
জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনের পরবর্তী সময় জামাতে আমির আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার ঘোষণা ছিল জুলাই আগস্ট এর চৌদ্দশ শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত এবং তাদের ভোটের রাজনীতিতে কম্প্রোমাইজ করা যেটা জাতিকে হতাশ করেছে। এখন সকলের প্রশ্ন জামাত যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন গুলিতে কিভাবে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারে? তাহলে ভোটের অধিকারের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করতে গিয়ে শেখ হাসিনার রেজিম এর পরিবর্তন আনতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই না।
আগামিতে যে কারনে জামাত তার রাজনৈতিক কবর রচনা করবে;
১, একাত্তরে জাতির সাথে বিশ্বস ঘাতকতা করায় ৫৪ বছর বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের লেজুর ধরে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখা।
২, ভোটের অধিকারের সংগ্রামে মাঠে আওয়ামিলীগ এর বিরোধিতা করলেও নিজেরাই ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আওয়ামীদের সাথে আতাতে ইন্ডিয়ার বিশেষ বাহিনীর টোপ গিলছে।আর এই টোপ গিলে আরেকবার দেশ বিরোধি রাজাকারের ভুমিকায় থেকে দুইবার রাজাকার একবার মোনাফেক নামে জাতীর কাছে প্রতিষ্ঠিত হবে।
৩, জুলাই এর পরে হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ তারেক রহমান এর দেশে না আসার ষড়যন্ত্র করে বি এন পির দালাল আর এন সি পি কে কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের সকল পদ দখল করা।
৪, ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনে জুলাই শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতাই আবার জামাতের রাজনীতির কবর রচনা হবে। তবে এ জাতীকে আল্ললাহ রক্ষা করবে।
বি এন পির একশ্রেনীর দালাল, আওয়ামিলীগ এর চোর, জামাতের মোনাফেকি, সব মিলে দেশ সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারেক রহমানের নেতৃত্ব আদর্শে দেশ সেইভ হবে ইনশাআল্লাহ। জামাত আবার জুলাইয়ের শহীদ দের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার কারনে রাজনৈতিক দোজকের আগুনে পুরবে।