ইউরোপে স্বপ্নের জীবনের খোঁজে সাগরপথে যাত্রা করা তরুণদের জন্য লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর রূপ নিল দুঃস্বপ্নে। ৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইতালির উদ্দেশ্যে লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা করা একটি স্পিডবোটে থাকা ৩৮ জন বাংলাদেশি এখনো নিখোঁজ।
একই রাতে লিবিয়ার বেনগাজী উপকূল থেকে আরেকটি স্পিডবোটে থাকা ৩২ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির কোস্টগার্ড।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই গৌরনদীসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে নেমে আসে শোকের ছায়া। নিখোঁজ যুবকদের পরিবারে চলছে বুকফাটা কান্না আর আর্তনাদ। এক বৃদ্ধা মা বলেন, “আমার ছেলে বলেছিল মা, আর কষ্ট হবে না। এখন সে কোথায় আছে, বেঁচে আছে তো?” আরেক তরুণীর স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ঋণ করে স্বামীকে পাঠালাম, ভেবেছিলাম সংসারে সুখ আসবে। এখন সে বন্দি। আমার সন্তানদের কীভাবে মানুষ করবো?”
স্বজনরা সরকারের কাছে একটাই আবেদন জানিয়েছেন—“আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন।” তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দালাল চক্রের প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে এসব যুবকরা জীবন বাজি রেখে সাগরপথে যাত্রা করেছিলেন। এখন কেউ নিখোঁজ, কেউ আটক। পরিবারগুলো শুধু উদ্ধারের নয়, মানবপাচার চক্রকেও আইনের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন।
এই ঘটনায় গৌরনদী ও পুরো বরিশাল জেলাজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোক।