ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমি বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আপন মামাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাগনেদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আফসার শেখ (৫০) ওই এলাকার প্রয়াত এমদাদুল হক শেখের ছেলে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিম্চিত করেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিহত আফসার শেখের ২ নাতি সুমন ফকির ও আবির কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিলে গোসল করতে গিয়ে হাতাহাতি ও মারামারি করে। মারপিটের বিষয়ে জানতে রাত ১০টার দিকে ভাগনে ও ভগ্নীপতির কাছে জানতে চান নিহত আফসার শেখ। এসময় ভাগনে হাসান ফকির, জহুরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন বাড়ি থেকে একটু অদূরে ডেকে নেয় মামা আফসারকে। সেখানে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায় তারা। পরে নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সেতু আক্তার অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডে নজরুল কাজী, জহির কাজী, আবীর কাজী এবং তাদের আত্মীয় ইয়ান ফকির ও হাসেন ফকির জড়িত। তিনি হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহতের ছোট ছেলে মেহেদী শেখ জানান, তার বাবা আফসার শেখকে প্রতিবেশি ও আপন বোনের ছেলে নজরুল কাজী এবং তার সহযোগীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাবাকে হত্যার করে।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রিফাত উদ্দিন জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আফসার শেখকে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের ও লাঠি দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।